নির্বাচনী জনসংযোগের সময় চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপি’র আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে নগরের চান্দগাঁও চালিতাতলী খন্দকারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন আহত হন।
এদিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেওয়া সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা (৪৩) গুলিতে নিহত হয়েছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে বিকেলে নগরের চালিতাতলী এলাকায় চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নেন সরোয়ার। এতে এরশাদ উল্লাহ, সরোয়ার ও শান্ত নামের তিনজন গুলিতে আহত হন। তাঁদের মধ্যে সরোয়ারের মৃত্যু হয়।
এদিকে এ হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে দ্রুতই হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির বলেন, গুলিতে আহত সরোয়ার মারা গেছেন।
এরশাদ উল্লাহর ছেলে ইমাদ এরশাদ বলেন, ‘আমার বাবাকে গুলি করা হয়েছে শুনেছি। বাবাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমি সেখানে যাচ্ছি।’
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ সন্ধ্যায় বলেন, নির্বাচনী প্রচারণাকালে নগর বিএনপির আহ্বায়কসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির প্রার্থী জনসংযোগ করার সময় সেখানে শত শত লোক অংশ নেন। সরোয়ার সেখানে অংশ নিলে সন্ত্রাসী দুটি দলের মধ্যে পূর্ববিরোধের জেরে তাঁকে গুলি করা হয়।
এরশাদ উল্লাহ বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, এরশাদ উল্লাহ আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। তাঁর পেটে ছররা গুলি লাগে।
খুলনা গেজেট/এএজে

